স্টাফ রিপোর্টার :
নারায়ণগঞ্জে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ধুম পড়েছে। প্রতিনিয়তই অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার খবরও মিলছে। এতে তিতাস কর্তৃপক্ষ বাহবা কুড়ালেও প্রশ্নও উঠেছে সচেতন মহলে। কেননা, যে পরিমান অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, সেই তুলনায় মামলা বা প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের খবর পাওয়া যায়নি। আবার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও পূনরায় তা চালু করা হচ্ছে।
সচেতন মহল বলছেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও এসব সংযোগের নেপথ্যে কারা, তা খুজে বেড় করা হচ্ছে না। মূল হোতারা আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। রহস্যজনক কারণে সেদিকে নীরব রয়েছেন তিতাস কর্তৃপক্ষও।
অভিযোগ শোনা যায়, তিতাসের কিছু অসাধু ব্যক্তিকে ম্যানেজ করেই স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা, অসাধু জনপ্রতিনিধি এবং ঠিকাদারী সিন্ডিকেটের যোগসাজসে অবৈধ গ্যাস সংযোগ নেয়া হয়। তবে তিতাসের অভিযানেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও আড়ালে থেকে যাচ্ছে এই চক্রটি।
তথ্য বলছে, সরকারের জ্বালানি মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনায় ২০১৫ সাল থেকে আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্যাস সংযোগ দেয়া বন্ধ রেখেছে তিতাস। তবে, ২০১৫ সালের পরও শহর কিংবা শহরতলীতে যেসব বাসাবাড়ি ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, তার বেশির ভাগেই রয়েছে তিতাসের গ্যাস সংযোগ।
সচেতন মহলের প্রশ্ন, রাষ্ট্রীয় ভাবে বন্ধ থাকলেও নতুন গড়ে উঠা এসব বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ এলো কিভাবে? এর নেপথ্যেই রয়েছেন কারা- তা নিয়ে রহস্যের দানা বেধেছে জনমনে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনাগাঁয়ের বেশ কিছু এলাকায় দফায় দফায় অভিযান চালাচ্ছে তিতাস। বকেয়া বিল এবং অবৈধ সংযোগ থাকায় কয়েক হাজার অবৈধ গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তিতাসের অভিযানে থাকা দায়িত্বশীলরা কিছু সংখ্যক জরিমানা আদায় করে দায় সারছেন। তবে অবৈধ গ্রাহক কিংবা এর নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদের আইনের আওতায় তথা আটক করার নজির দেখা যায় না। এতে প্রশ্ন উঠেছে তিতাসের বৈধ গ্রাহকদের মাঝে।
এই বিষয়ে তিতাসের আঞ্চলিক বিপণন বিভাগ নারায়ণগঞ্জ জোনের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) হারুন উর রশিদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সাবেক ডিজিএম গোলাম ফারুক দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেছিলেন, ‘তিতাস কর্তৃপক্ষ অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করণে প্রতিনিয়তই অভিযান চালিয়ে থাকে। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী মহল বা বিভিন্ন সিন্ডিকেট অবৈধ পন্থায় গ্যাস সংযোগ দিয়ে থাকে। এর সাথে তিতাস কর্তৃপক্ষের কারো হাত নেই। আমরা অবৈধ সংযোগের তথ্য পেলেই সেখানে অভিযান চালিয়ে থাকি। আর ধারা অনুযায়ী আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়।’